খ্রিস্টীয় জীবনযাপন
পরিচর্যায় আমাদের দক্ষতা বাড়ানো—সুন্দর করে চিঠি লিখে
যে-কারণে এটা গুরুত্বপূর্ণ: প্রথম করিন্থীয় বইটা হল সহখ্রিস্টানদের উৎসাহিত করার জন্য প্রেরিত পৌলের লেখা ১৪টা চিঠির মধ্যে একটা। একজন ব্যক্তি যখন চিঠি লেখেন, তখন তিনি সতর্কতার সঙ্গে শব্দ বাছাই করতে পারেন এবং চিঠির প্রাপক তা বার বার পড়তে পারেন। চিঠি লেখা হল আত্মীয়স্বজন ও পরিচিত ব্যক্তিদের কাছে সাক্ষ্য দেওয়ার একটা ভালো উপায়। এ ছাড়া, এটা সেই ব্যক্তিদের কাছেও সাক্ষ্য দেওয়ার এক সাহায্যকারী মাধ্যম, যাদের সঙ্গে আমরা সরাসরি কথা বলতে পারি না। উদাহরণ স্বরূপ, কেউ হয়তো আগ্রহ দেখিয়েছেন কিন্তু তাকে ঘরে পাওয়া খুব কঠিন। আমাদের এলাকার কোনো কোনো লোকের কাছে পৌঁছানো হয়তো কঠিন, কারণ তারা কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে এমন আ্যপার্টমেন্টে, প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত এমন এলাকায় অথবা বিচ্ছিন্ন এলাকায় বাস করে। বিশেষ করে একজন অপরিচিত ব্যক্তির কাছে চিঠি লেখার সময় কোন বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে?
যেভাবে এটা করা যায়:
-
তার সঙ্গে সরাসরি দেখা হলে যা বলতেন, সেটাই বলুন। চিঠির শুরুতে নিজের পরিচয় দিন এবং আপনার চিঠি লেখার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করুন। এরপর এমন একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারেন, যেটা নিয়ে সেই ব্যক্তি চিন্তা করতে পারেন এবং তাকে আমাদের ওয়েবসাইট সম্বন্ধে জানান, যেখান থেকে এই বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে। তারপর, বাড়িতে গিয়ে বাইবেল অধ্যয়ন করানোর যে-ব্যবস্থা রয়েছে, সেই সম্বন্ধে তাকে জানান অথবা আমাদের কোনো অধ্যয়ন সহায়ক থেকে কয়েকটা অধ্যায়ের শিরোনাম উল্লেখ করুন। চিঠির সঙ্গে কোনো প্রকাশনা যেমন, একটা কনট্যাক্ট কার্ড অথবা একটা ট্র্যাক্ট দিন
-
সংক্ষেপে লিখুন। চিঠি যেন খুব দীর্ঘ না হয়। চিঠি দীর্ঘ হলে, প্রাপক হয়তো পড়তে পড়তে ক্লান্ত হয়ে যেতে পারেন।—নমুনা চিঠি দেখুন
-
খেয়াল রাখুন যেন চিঠিটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয় ও সহজে পড়া যায়। এ ছাড়া, চিঠির কথাবার্তা যেন বন্ধুত্বপরায়ণ, কৌশলী ও ইতিবাচক হয়। খামের উপর যথেষ্ট পরিমাণ স্ট্যাম্প লাগান